দুগ্গা.. অর্পিতা কামিল্যা
পর্ব-1
"পাতলা ন্যাকড়াখান কাঁচা পেঁপেটার গায়ে জড়ায় দিতে হবে। এইবার এমন সাবধানে বেলেড চালাবো, এমন--সাবধানে--য্যান পেঁপের থিকে আঠা না বেরোয়, অথচ কাপড় খান কাটি যায়"-- মনে মনে বিড় বিড় করে ,আর একটা কাঁচা পেঁপের গায়ে ন্যকড়া জড়িয়ে ব্লেড চালানো অভ্যাস করে --দুগ্গা।
"আরে চিল ওস্তাদ চিল, তুমি আমাদের ঝাঁসি কা রানী , এমন বেলেড মারবে না,পুরো দুধ কা দুধ পানী কা পানী"--আলি
" চুপ কর তুই,তোরে এসব দেখতি হবে না। বলেছি না আমার মতো হওয়ার চেষ্টা,একদম করবি না। হ্যাঁ রে সন্ধ্যায় পড়তে বসেছিলিস্?--দুগ্গা।
"হ্যাঁ,হ্যাঁ সব হোম ওয়ার্ক ডান,আর সব অংক গুলোও হয়ে যেতো কিন্তু অংক করতে করতে আমার পেনের শিষটার কালি শেষ হয়ে গেলো। একটা পেন কিনতে হবে, ওস্তাদ"--- আলি।
"আচ্ছা, সে দেবো খন। ঐ দেখ আলি!-তোর বুনুটা আবার কাঁদতেছে , যা যা ওর ঘুম ভেঙ্গে গেইছে , খিদা পাইছে মনে হয় । ভাত টা ফুটে গেইছে।আমি এইটা নামায়"---দুগ্গা।
আবাস যোজনায় পাওয়া, একটি প্লাস্টার বিহীন চার দেওয়ালের ম্যাড়ম্যাড়ে বিবর্ণ পরিবেশ। ঘরের ভিতরে এদিক ওদিক দড়ি টাঙানো আছে,আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে সেখানে শুকোতে দেওয়া আছে অনেক ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো। ঘরের মধ্যে একটা দড়ির খাটিয়া, সেখানে শুয়ে শুয়ে কাঁদছে একটা শিশু।দৌড়ে এসে খাটিয়ার কাছে পৌঁছে যায় আলি ,আর দেখে শিশুটি প্রসাব করে তার বিছানা ভিজিয়ে ফেলেছে! কান্নার কারন হয়তো তাই, আলি বাচ্চাটা কে কোলে নেয় আর কান্না থামানোর চেষ্টা করে।
"আসার পথে দুধের কৌটা কিনতে পারি নাই। সে অ অ অ অ নেক দাম চাইতেছে। চাল ডাল কেরোসিন,পেঁপে,কিনতেই সব টাকা ফিনিস"--দুগ্গা।
"ওস্তাদ, চাপ লেনে কা নাহি, পাশের খোলার বুড্ডি চাচি বলেছে, বুনু কে গলা গলা ডাল ভাত খেতে দেওয়া যাবে। ছয় মাস বয়স হলেই নাকি দেওয়া যায়! তাইতো শুনলাম"----আলি।
আলির কাছে গেলো দুগ্গা,আর আলির কাছ থেকে পরম মমতায় কোলে তুলে নিলো প্রায় দশ মাস বয়সের একটি শিশুকন্যা কে। আদরে আদরে বাচ্চাটার পিঠ চাপড়ে চাপড়ে কান্না থামানোর চেষ্টা করতে থাকে কুখ্যাত পকেটমার দুগ্গা।----(ক্রমশ)
ليست هناك تعليقات
مرحبا بكم في الموقع الإعلامي للمنتدى الثقافي الدولي شكرا لتواصلكم معنا ولمشاركتكم الفاعلة
Welcome to the media site of the International Cultural Forum. Thank you for contacting us and for your active participation